বাজিস-১৪ : কেরানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস কাল

204

বাজিস-১৪
কেরাণীগঞ্জ গণহত্যা দিবস
কেরানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস কাল
ঢাকা, ১ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : কাল ২ এপ্রিল কেরাণীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক সেনা ও তাদের দোসরদের ভয়াল থাবায় লন্ডভন্ড হয়েছিল কেরাণীগঞ্জ। মা-বাবা হারিয়েছে তার আদরের সন্তানকে। ভাই হারিয়েছে বোনকে। বোন হারিয়েছে ভাইকে। কেউবা আবার হারিয়েছে পরিবারের সবাইকেই। যে কারণে ২রা এপ্রিল কেরাণীগঞ্জবাসীর জন্য এক দু:খগাথা বেদনাবিদুর দিন। ২রা এপ্রিল কেরাণীগঞ্জবাসীর সব হারানোর দিন।
জানা যায়,২রা এপ্রিল দিনের আলো ফুটে ওঠার আগেই ঘুমন্ত কেরাণীগঞ্জ বাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পরে পাকিস্তানী হায়েনারা। পাখির মত হত্যা করে অগনিত মানুষকে। জ্বালিয়ে দেয় ঘুমন্ত মানুষের বাড়ি ঘর। পাক সেনা ও তাদের দোসরদের বর্বরোচিত এ ধ্বংস লীলার কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনে ঝলসে মারা যায় শিশু ও মহিলাসহ অসংখ্য তাজা প্রাণ। পাক সেনাদের এ বর্বরোচিত হামলায় ওই দিন কেরাণীগঞ্জের প্রায় ৫ সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। যাদের মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কেরাণীগঞ্জে আশ্রয় নেয়া অনেক মানুষও রয়েছে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানের ঘটনা ছিল এটি। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে নয় মাসের যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এরই মধ্যে কেটেও গেছে আমাদের গৌরব দীপ্ত মহান স্বাধীনতার ৪৮ বছর। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের এবং তাদের পরিবারকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তবে কেরাণীগঞ্জের শহীদদের স্মরণে জিনজিরা মনুবেপারীর ঢালে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি বছর ২রা এপ্রিল কেরাণীগঞ্জের প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অরাজনৈতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনগুলো পুস্পা অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
দিনটিকে স্মরণ করে তারা আলোচনা সভা,মিলাদ-মাহফিল,দোয়া-মেনাজাত ও গণভোজ ভোজসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। পাশাপাশি কেরাণীগঞ্জবাসী দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের দাবি করে আসছেন। স্বজন হারানো শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও এমন দাবি।
বাসস/সংবাদদাতা/১৯২০/মরপা