বাসস দেশ-২১ : বারুনী স্নানোৎসব ও মেলা কাল শুরু

213

বাসস দেশ-২১
বারুনী-স্নানোৎসব
বারুনী স্নানোৎসব ও মেলা কাল শুরু
গোপালগঞ্জ, ১ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস) : হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৮তম জন্ম তিথি উপলক্ষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ওড়াকান্দির মহা-বারুনী স্নানোৎসব ও মেলা আগামীকাল শুরু হবে।
লাখ লাখ ভক্তের সমাগমে এ স্নানোৎসব ও মেলা চলবে বুধবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত।
অনুষ্ঠান সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্নানোৎসব এবং মেলা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিন লাখ লাখ মতুয়া ভক্ত ও হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তরা পাপ মোচনের আশায় স্নান করবেন। স্নানোৎসব উপলক্ষে ঠাকুরবাড়ি ঘিরে বসবে মহাবারুনী মেলা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকে জানা গেছে, এদিন সকাল সোয়া ৯টায় হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী ও স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি হিমাংশুপতি ঠাকুর স্নানোৎসবের শুভ উদ্বোধন করবেন।
এ সময় ঠাকুর পরিবারের সচিপতি ঠাকুর, অমিতাভ ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর ও সুপতি ঠাকুর শিবুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সঠিকভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় উচ্চ পর্যবেক্ষণ চৌকি ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অন্যদিকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের ৪ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।
হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী ও কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর জানান,পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল এবং শ্রীলংকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মতুয়া ভক্তরা এ স্নানোৎসবে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন,মতুয়া অনুসারী ভক্তরা তীর্থভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে হাতে বিজয় ও সত্যের লাল নিশান এবং ডাংখা (বড় ঢোল) বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে মাইলের পর মাইল পথ পায়ে হেঁটে ছুটে আসেন।
দুরের ভক্তরা বাস, ট্রাক, নসিমণ, করিমণ, ইজি বাইক, থ্রি-হুইলার ও নৌ-পথে নৌকা ও ট্রলারে করে এখানে আসেন। ভক্তরা প্রথমে কামনা ও পরে শান্তি সাগরে (বড় আকৃতির পুকুর) স্নান করে থাকেন। সব মিলে প্রায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটে।
কাশিয়ানী থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠানটিকে নিরবচ্ছিন্ন করতে দু’শ পুলিশ সদস্যের একটি শিফটিং তালিকা তৈরী হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বলেন, স্নানোৎসবকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে বড় ধরনের জমায়েত হয়, সেই কারণে ঠাকুরবাড়ির প্রবেশ পথে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ চৌকিও (ওয়াচ টাওয়ার)।
বাসস/সংবাদদাতা/এসএস/১৮৫০/-জেজেড