ঢাকার বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

152

ঢাকা, ১ এপ্রিল ২০১৯ (বাসস): অগ্নি প্রতিরোধ এন্ড নির্বাপন আইন ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসারে ঢাকার সব বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপনে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে-সে বিষয়ে একটি যৌথ প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেয়। চার মাসের মধ্যে কমিটি করে এ প্রতিবেদন রাজউক, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের যন্ত্রপাতি, গাড়িসহ কি পরিমান জনবল আছে তা এক মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রিট আবেদনটি গতকাল দায়ের করেন গুলশান সোসাইটির মহাসচিব সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
রিট পিটিশনার ও আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ আদালতের উল্লেখিত দুটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ উল্লেখ করে বলেন, আদালত এ দুটি আদেশ ছাড়াও রুল জারি করেছে।
রুলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়া ভবন নির্মাণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ও অগ্নিনির্বাপণ আইন লঙ্ঘনের কারণে সৃষ্ট আগুনের বিপত্তি থেকে ঢাকা মহানগরের বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, স্বাধীন তদন্তের পর চকবাজার ও বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, জনমনে সচেতনা বাড়াতে দুর্যোগের বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, গুলশান এলাকায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনে জমি বরাদ্দে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছে আদালত।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, শিক্ষা এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ও রাজউক চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আগুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদনটি করা হয়।