বাসস দেশ-২০ : ভবন বিধি লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করুন : তথ্যমন্ত্রী

170

বাসস দেশ-২০
তথ্যমন্ত্রী-আলোচনা সভা
ভবন বিধি লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করুন : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : সবকিছু রাজনীতকরণ না করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বলেছেন, প্রত্যেকেরই উচিত ভবন নির্মাণবিধি লংঘনকারীদের অপচেষ্টা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা। তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা হতাহতদের পাশে দাঁড়াই এবং ভবন নির্মাণকালে নির্মাণবিধি লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করি।’ আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রখ্যাত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সবসময়ই সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করতে চেষ্টা করছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বনানী অগ্নিকান্ডের পর তারা বললেন দেশে কোন গনতন্ত্র নাই এবং সেকারনেই এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ড ও গনতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্ক কি তা আমি জানিনা।’
তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোর মালিক একজন বিএনপি নেতা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা ইতিমধ্যে তাকে আটক করেছে এবং অন্যান্য অপরাধীদেরকেও আটকের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, কে দুর্নীতিবাজ? দয়াকরে সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করবেন না।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনবিসি অনুসারে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক, কিন্তু এফআর টাওয়ার নির্মাণের ক্ষেত্রে বিএনবিসি অনুসরণ করা হয় নাই।
তিনি বলেন, ‘সেকারণে ভবন মালিকদের লোভের জন্য বনানী অগ্নিকান্ডে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আমি সবাইকে নির্মাণবিধি অনুসরণের জন্য অনুরোধ করছি, যাতে লোভের আগুনে পুড়ে কেউ নিহত না হন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো নির্মাণের সময় সবাইকে অবশ্যই নির্মাণবিধি অনুসরন করতে হবে এবং ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিত।
তিনি বলেন, ‘বিধিবিধান লংঘন করে নির্মিত অবকাঠামোর ব্যাপারে প্রয়োজনে সবার প্রতিবাদ করা উচিত।’ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন সারাদেশে মাত্র ২০৪টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং ৪ হাজার ৩৭৭ জনবল ছিল। বর্তমানে ৪০২টি ফায়ার স্টেশন এবং ১০ হাজার ৩৮০ জনবল রয়েছে।
অপরদিকে তথ্যমন্ত্রী জানান, সরকার সারাদেশে আরো ১৯৮টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিস স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যাতে মোট ১৫ হাজার ৭৫০ জন জনবল যোগ হবে। তিনি বলেন, সরকার ৪৯ প্রকার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেছে। সেই সাথে সরকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেক্টরকে আধুনিকায়ন করতে কাজ করছে। সমরাস্ত্র হার্ডওয়ার ক্রয় বাবদ বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে অবশ্যই আমাদের শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘকে সমরাস্ত্র হার্ডওয়ার ভাড়া দিয়ে থাকে।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেন। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর দেশ পুনঃ গঠনের দিকে মনযোগ দেন। ফলে সে সময় দেশ ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক (জিডিপি’র) প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। যা নাকি মাত্র দু’বছর আগে পুনরায় অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন তবে ইতিমধ্যে দেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। তবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আখতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি অভিনেত্রী ফারহানা আমিন নতুন, জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুন সরকার রানা, জোটের নেতা কন্ঠশিল্পী এস.ডি রুবেল, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা মোত্তাছিম বিল্লাহ, লিয়াকত আলী খান, জি.এম আতিক, কন্ঠশিল্পী বৃষ্টি রাণী সরকার, কন্ঠশিল্পী মাধবী সরকার প্রমুখ।
বাসস/পিএসবি/অনু-এমকে-কেকে/১৭৫৫/কেএমকে