বাসস দেশ-১৭ : এফ আর টাওয়ার সামান্য হেলে পড়েছে : বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল

120

বাসস দেশ-১৭
এফ আর টাওয়ার-রাজউক-বুয়েট
এফ আর টাওয়ার সামান্য হেলে পড়েছে : বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল
ঢাকা, ৩১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীর বনানীতে অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত ২৩ তলা ভবন এফ আর টাওয়ার দুর্ঘটনার ৪ দিনের মাথায় হঠাৎ সামান্য হেলে পড়েছে। ভবনের ভেতরে বিভিন্ন তলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ভবনটি এখন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেটি আর ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে জানিয়েছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল।
আজ সকালে এফ আর টাওয়ার পরিদর্শন শেষে বুয়েট ও রাজউকের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। বুয়েটের তদন্ত কমিটি আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
তিনি বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনায় এফ আর টাওয়ার কিছুটা অংশ নিচের দিকে হেলে পড়েছে। ভবনের ভেতরের কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বহুতল ভবনটি সংস্কার ও ঠিক করতে অন্তত ১৫০ দিনের মতো সময় লাগবে। তদন্তের প্রয়োজনে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।
অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী জানান, ভবনে জরুরি নির্গমন পথ ছিল খুবই সুরু ও চিকন। কেবল একটি ফ্লোরে ফায়ার ডোর ছিল। আরও বেশ কিছু জায়গায় ত্রুটি রয়েছে। এগুলো সংশোধন ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। তিনি বলেন, এটি একটি ঝুঁকি পূর্ণ বহুতল ভবন। ভবনের কলম, ও বিল্ডিং কোড মেনে পুরো ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি সংস্কার করা যায় কিনা সে বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করবো।
গঠিত তদন্ত কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপক, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও সচিব (উন্নয়ন) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রয়েছেন। কমিটি তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ভবন সংস্কারে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। এ সময় অপর সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক রাকিব আহসান জানান, পরিদর্শনের সময় তারা দেখেছেন জরুরি নির্গমন পথটি কোন কোন জায়গায় বন্ধ ছিল।
এদিকে, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বাসসকে জানান, প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে ভবনটির কনক্রিট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করে দেখা হবে। বহুতল ভবনটি ব্যবহারের উপযোগি কিনা এবং সেটি করা যায় কিনা সেটি ও খতিয়ে দেখা হবে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এফআর ১৮-তলা টাওয়ারটি ২৩ তলা করায় তা কতটা ঝুঁকি তৈরি করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচেছ।
এসময় তদন্ত কমিটির আহবায়ক রাজউকের মেম্বার (ডেভেলপমেন্ট) মেজর সামছুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (অব.), বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী, প্রকৌশরী অধ্যাপক রাকিব আহসান, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী ও সচিব (উন্নয়ন), প্রধান প্রকৌশলী ডিএনসিসি (ঢাকা উত্তর) সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এসই/১৭২৫/কেএমকে