এফ আর টাওয়ারের নির্মাণ ত্রুটিই হতাহতের কারণ : আবদুল বাতেন

191

ঢাকা, ৩১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : বনানীর এফ আর টাওয়ারের নির্মাণ ত্রুটি, জরুরী নির্গমন পথের অভাব, পর্যাপ্ত স্মোক ডিটেকটর ও ফায়ার ফাইটিং সরঞ্জাম না থাকাকে হতাহত ও বিপুল ক্ষতির কারণ বলে জানিয়েছেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো: আবদুল বাতেন।
আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও হতাহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাসভিরুল ইসলাম ও এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশান, বসুন্ধরা ও বারিধারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অগ্নিকান্ডে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ভবনটির নির্মাণ ত্রুটি, অনুমোদন ছাড়া সম্প্রসারণ, জরুরী নির্গমন পথের অভাব, পর্যাপ্ত স্মোক ডিটেকটর ও ফায়ার ফাইটিং সরঞ্জাম ব্যবস্থা না থাকায় এ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাতেন আরো বলেন, অভিযুক্ত ফারুক, তাসভিরুল ইসলাম ও লিয়াকত আলী খান মুকুলের চরম অবহেলা ও উদাসিনতায় সৃষ্ট এ অগ্নিকান্ডে বহু জীবন নাশ এবং সম্পদের ক্ষতি হয়েছে
তিনি বলেন, এফ আর টাওয়ারকে তারা শুধু অর্থ উপার্জনের কারখানা হিসেবে বিবেচনা করেছে। তারা ভবনটির নিরাপত্তা, মানবিকতা ও সেবার দিকটি উপেক্ষা করায় এই বিপুল ক্ষতি সাধিত হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ফারুক জমি ও ৪৫ শতাংশ অবকাঠামোর মালিক। তাসভিরুল ইসলাম অবৈধভাবে নির্মিত অংশের মালিক এবং ভবনটির ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি। রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান বিধিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপেক্ষা করে ভবনটি তৈরি ও বিক্রয় করেছেন। লিয়াকত আলীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনায় বনানী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে আবদুল বাতেন আর বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানী থানার ৩২ কামাল আতাতুর্ক এ্যাভিনিউয়ে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন বাহিনী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায় এবং ৬৮ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের ৬ কর্মী আহত হয়। এতে টাওয়ারটির ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ভবনে বিভিন্ন অফিসের আসবাবপত্র পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।