বাসস দেশ-৮ : মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধজালের উৎসমূল নির্মূল করতে হবে : মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

125

বাসস দেশ-৮
মৎস্য-ভবন-উদ্বোধন
মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধজালের উৎসমূল নির্মূল করতে হবে : মৎস্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : মৎস্য খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিতে মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধজালের উৎসমূল নির্মূলের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
তিনি বলেন, ‘মাছের বংশ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল ধ্বংস করতে না পারলে থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের মতন আমাদের দেশীয় মাছও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
আজ রোববার উত্তরায় ৯তলা বিশিষ্ট মৎস্যভবন-২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
নামফলক উন্মোচনের পর ভবনটির সম্মেলন কক্ষে এক উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৫কাঠা জমিতে নির্মিত এই ভবনে ঢাকা বিভাগীয় মৎস্য অফিস এবং ঢাকা জেলা মৎস্য অফিসের কার্যক্রম চলবে। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
পিডব্লিউডি কর্তৃক ডিজাইনকৃত ভবনটির নির্মাণকার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে মৎস্য অধিদফতরের “মানসম্মত মৎস্যবীজ ও পোনা উৎপাদনবৃদ্ধির লক্ষে মৎস্য স্থাপনা পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প”।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী ইকবাল আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিকদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এবং মৎস্য অধিদফতরের প্রচেষ্টায় দেশে বিলুপ্তপ্রায় ১৯ প্রজাতির মাছের পুনরাবির্ভাবের কথা উল্লেখ করে বিদেশে মাছরপ্তানির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী মৎস্য উপখাতের এডিপির মূল্যায়ন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ খাতে ২১টি প্রকল্পের জন্য চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে একই খাতের ২৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৪৮৬ কোটি ৬০ লাখ এবং ব্যয় হয়েছিল ১৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাতের সর্বমোট ৪৪টি প্রকল্পে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উভয় উপখাতে ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৭টি প্রকল্পের জন্য এ বরাদ্দ ছিল ৭৮৯ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ব্যয় হয়েছিল ৩৪৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
বাসস/সবি/এমএন/১৬৩০/কেজিএ