বাসস দেশ-৩১ : অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার চাবিকাঠি : বক্তারা

335

বাসস দেশ-৩১
ওয়ার্কার্স-পার্টি-গোলটেবিল
অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার চাবিকাঠি : বক্তারা
ঢাকা, ৩০ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার চাবিকাঠি।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “বাংলাদেশের স্বাধীনতা : ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার সংকট ও সম্ভাবনা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন।
বৈঠকে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদৎ হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেন, “রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট থেকে বাঁচাতে হলে রাজনৈতিক সংগ্রাম ও জনগণের ঐক্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রয়োজন। সাংস্কৃতিক চর্চা ছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জ সর্বত্র সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটিয়েই ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে ধর্মের নামে বৈষম্য, ধর্মের নামে গণতন্ত্র হরণ, ভোটাধিকার হরণ ও বিদেশী সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হয়। বহু সংগ্রামের মাধ্যমে সেই অপশক্তিকে রুখে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি পরাস্ত হলেও নির্মূল হয়নি। তারা আবার নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা মূল প্রবন্ধে বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মূল নীতির আলোকে রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে হলে আমাদের সামনে অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। সেটা কোনো একক উদ্যোগের ব্যাপার নয়, বরং তা একটি ব্যাপক ও সম্মিলিত কর্মপ্রচেষ্টার ফলে আনা যেতে পারে। তাই আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষায় ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে চাই তাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বাসস/সবি/এমএন/১৯৩০/এএএ