বাসস ক্রীড়া-১৩ : মিজানুর-ফজলে জোড়া সেঞ্চুরি পরও প্রাইম ব্যাংকের কাছে হারলো ব্রাদার্স

227

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-প্রিমিয়ার লিগ
মিজানুর-ফজলে জোড়া সেঞ্চুরি পরও প্রাইম ব্যাংকের কাছে হারলো ব্রাদার্স
ঢাকা, ৩০ মার্চ ২০১৯ (বাসস) : প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সপ্তম রাউন্ডে ওপেনার মিজানুর রহমানের ১০০ ও তিন নম্বর ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদের অপরাজিত ১৪৯ রানে ২ উইকেটে ৩৩০ রান করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তাই জয়ের জন্য ৩৩১ রানের বড় টার্গেট পায় প্রাইম ব্যাংক। এই ৭ বল বাকী রেখেই লক্ষ্য স্পর্শ করে প্রাইম ব্যাংক। এতে ৫ উইকেটে জয় পায় প্রাইম ব্যাংক। বিজয়ী দলের কেউ সেঞ্চুরি করতে না পারলেও চার ব্যাটসম্যান হাফ-সেঞ্চুরির পেয়েছেন।
ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় প্রাইম ব্যাংক। ব্যাট হাতে দলীয় ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ব্রাদার্স। ৭ রান করে আউট হন জুনায়েদ সিদ্দিকী। এরপর দ্রুত উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে বড় জুটি গড়েন মিজানুর ও ফজলে। দলের স্কোর ২শ’তে নিয়ে যান তারা।
সেঞ্চুরি তুলে নেন মিজানুর। সেঞ্চুরির পরই থেমে যান তিনি। দলীয় ২০৩ রানে নামের পাশে ১০০ স্কোর রেখে আউট হন মিজানুর। ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০৯ বল মোকাবেলা করে নিজের ইনিংসটি সাজান মিজানুর। দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৩ রান যোগ করেন মিজানুর ও ফজলে।
সতীর্থ মিজানুর ৩৮তম ওভারে থামলেও দলকে রানের পাহাড়ে তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন ফজলে। সাথে সঙ্গী হিসেবে পান ইয়াসির আলিকে। তৃতীয় উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েন ফজলে-ইয়াসির। তাই ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ব্রাদার্স।
১৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৪৭ বলে অপরাজিত ১৪৯ রান করেন ফজলে। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন ইয়াসির।
জয়ের জন্য ৩৩১ রানের বিশাল টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। দলীয় ১৯ রানে ওপেনার সালমান হোসেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন। তবে অন্যপ্রান্ত দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছেন ওপেনার এনামুল হক। মারমুখী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে দলের রানের চাকা দ্রুত ঘুড়িয়েছেন এনামুল। তাই ১২ ওভারেই ৯০ রান পেয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। এসময় ৪৫ বলে ৫০ রান ছিলো এনামুলের। তবে ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে থেমে যেতে হয় এনামুলকে। ১০টি চারে ৪৭ বলে ৫৪ রান করেন তিনি।
এনামুল ফিরে যাবার পর দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন ভারতের অভিমন্যু ইয়াসরান ও আল-আমিন। তৃতীয় উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন তারা। আল-আমিন ৪৭ বলে ৫২ রান করে থামলে ক্রিজে অভিমন্যুর সঙ্গী হন অলক কাপালি। এ অবস্থায় ১৫১ বলে ১৫৮ রান দরকার পড়ে প্রাইম ব্যাংকের। এই কাজটি সহজ করতে চতুর্থ উইকেটে ৯২ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন অভিমন্যু-কাপালি। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৬ বলে ৯০ রান করে অভিমন্যু ফিরে গেলেও দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন কাপালি। সাত নম্বরে নামা নাহিদুল ইসলাম ছিলেন কাপালির সঙ্গী।
৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৫ বলে অপরাজিত ৮২ রান করেন কাপালি। ২৫ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন নাহিদুল। ব্রাদার্সের সাজেদুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফজলে মাহমুদ।
এই জয়ে ৭ খেলায় ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকলো প্রাইম ব্যাংক। ৭ খেলায় ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে সবার উপরে আবাহনী লিমিটেড। এ ম্যাচ হেরে ৭ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবমস্থানে ব্রাদার্স।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৮৫০/মোজা/স্বব