ঢাবিতে বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত

319

ঢাকা, ৩০ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, একটি জাতির প্রথম এবং প্রধান শক্তিশালী দর্পণ হলো তার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। এই সংস্কৃতি কর্মকান্ডের সাথে আমরা যতই সম্পৃক্ত থাকবো, ততই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, উদারনৈতিক আমাদের মাঝে সম্প্রসারিত হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ আয়োজিত ‘বসন্ত উৎসব ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এই বক্তব্য রাখেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়–য়া ও অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর এবং সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাগীব রহমান।
বিপ্লব বড়–য়া বলেন, আমি মনে করি বসন্তের চেতনা পৃথিবীর কম সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বোধন জাগায়। সেই দিক থেকে আমরা অনেকটা এগিয়ে। ঢাবির সাংস্কৃতিক সংসদ প্রতিবছরই বসন্ত উৎসব করে ঢাবির শিক্ষার্থীদের মাঝে সাংস্কৃতিককর্ম উপস্থাপন করছেন। তিনি সংসদের কর্মকর্তাদের এ জন্য ধন্যবাদ জানান।
ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদ থেকে বাসসকে জানানো হয়, শুক্রবার টিএসসি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে তিনজন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হচ্ছেন, নাট্য ব্যাক্তিত্ব লাকী ইনাম, আবৃত্তি শিল্পী ও অভিনেতা ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও নৃৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংবর্ধনার জবাবে লাকী ইনাম বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির মাধুর্য পৃথিবীর আর কোন জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে না। আমাদের সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গকে ধারণ করেই আমরা এতো বড় জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। তিনি বলেন, ঢাবির সংস্কৃতি সংসদের এই সংবর্ধনা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানা ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন ঘরানার পরিবেশনায় টিএসসি আঙ্গিনা ছিল উৎসমুখর। নাগরদোলা, বানর নাচ, পুুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, মোরগ লড়াই, পুঁথিপাঠ, কীর্তন, টিয়া পাখি দিয়ে ভাগ্য গণনাসহ গ্রামীণ সমাজের সংস্কৃতির উপস্থাপনা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের শিল্পীরা অংশ নেন।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো হয়। সন্ধ্যার পর ছিল ঢাবি সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা। রাতে ব্যান্ডদল দলছুট , গানকবি’র শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।