জোড়া সেঞ্চুরির পরও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচ হারলো পাকিস্তান

270

দুবাই, ৩০ মার্চ, ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : অভিষিক্ত আবিদ আলী এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া সেঞ্চুরি সত্বেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে চতুর্থ ওয়ানডে পরাজিত হয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে গত রাতে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়ে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
২৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অভিষেক হওয়া আবিদ আলীর ১১২ এবং রিজওয়ানের ১০৪ রানের সুবাদে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। কিন্তু মার্কাস স্টয়নিসের করা শেষ ওভার থেকে ১৭ রান নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বৃথা যায় জোড়া সেঞ্চুরি।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের শেষ ও পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
টসের বিপরীতে আগে ব্যাটিং করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৯৮, উসমান খাজার ৬২ এবং এ্যালেক্স ক্যারির ৫৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় উইকেটে আলী ও রিজওয়ানের ১৪৪ রানের জুটিতে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। তবে ৪২তম ওভারে এডাম জাম্পার শিকার হয়ে আলী ফিরে গেলে শেষ ৮ দশমিক ৫ ওভারে ৬০ রানের প্রয়োজন হলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
উমর আকমল ও অভিষেক হওয়া সাদ আলী উভয়েই সাত রান করে নাথান কালটার নাইলের শিকার হন। শেষ ওভারে রিজওয়ান ও উসমান সিনওয়ারিকে (৬) আউট করে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন স্টয়নিসি। কালটারনাইল ৫৩ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট।
জ্বরের কারণে ইমাম উল হক খেলতে না পারায় ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র দুই ঘন্টা আগে দলে সুযোগ পাওয়া আলী ১১১ বলে সেঞ্চুরি পুর্ন করেন।
বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ১৫তম ব্যাটসম্যান আলী। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এ রেকর্ড গড়েন আলী। তার আগে পাকিস্তানের খেলোয়াড় হিসেবে এমন কৃত্বি গড়েছেন কেবল সেলিম এলাহি এবং ইমাম।
আলী ১১১ বল মোকাবেলায় নয়টি বাউন্ডারি হাকান। ১০২ বল মোকাবেলা করা ইনিংসে একটি ছক্কা এবং নয়টি চার মারেন রিজওয়ান।
এ মাসের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর এক নাগারে সাত ওয়ানডে জয় করা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক এ্যারন ফিঞ্চ বলেন, ‘আবিদ এবং রিজওয়ানের অসাধারন সেঞ্চুরির পরও দলের ছেলেদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’
পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম সতীর্থ আলী ও রিজওয়ানের প্রশংসা করেন। তবে এমন পরাজয়ের জন্য মিডল অর্ডারের ব্যাটিংকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ‘জোড়া সেঞ্চুরি আমাদের জন্য ইতিবাচক। তবে ম্যাচটি আমাদের জেতা উচিত ছিল। আমাদের পাওয়ার হিটার এবং ফিনিশারের অভাব রয়েছে।’
এর আগে ১৪০ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়াকে টেনে তুলে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল। ৮২ বল মোকাবেলায় তিন ছক্কা ও নয় বাউন্ডারিতে ৯৮ রান করেন তিনি।
পাজরে আঘাতের কারণে শোয়েব মালিকের পরিবর্তে ওয়াসিমের নেতৃত্বে নবরূপের পাকিস্তান ১০১ রানে ৪ উইকেট শিকার করার পর মাঠে নামেন ম্যাক্সওয়েল।
ইয়াসির শাহর বলে রিজওয়ান ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যক্তিগ ১০ রানে জীবন পাওয়া ম্যাক্সওয়েল-ক্যারি ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৩৪ রান যোগ করেন। ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া ক্যারি ৬৭ বল মোকাবেলায় তিন বাউন্ডিারিতে ৫৫ রান করেন।
ব্যক্তিগ ৭৬ রানে দ্বিতীয়বার জীবন পান ম্যাক্সওয়েল। সিনওয়ারির নো বলের কারণে বেঁচে গেলেও দুই রান নিতে গিয়ে সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থাকতে রান আউটের শিকার হন ম্যাক্সওয়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া : ২৭৭/৭( ম্যাক্সওয়েল ৯৮, খাজা ৬২, ক্যারি ৫৫;ইয়াসির ৫৭/২)
পাকিস্তান : ২৭১/৮(আবিদ ১১২, রিজওয়ান ১০২; কালটার নাইল ৫৩/৩)