বাজিস-৪ : নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে

209

বাজিস-৪
নীলফামারী-সড়কের উন্নয়ন
নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে
নীলফামারী, ৩০ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : এগিয়ে চলছে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে সৈয়দপুর ওয়াবদা মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ। কাজটি সমাপ্ত হলে জেলা শহরেরসাথে উত্তরা ইপিজেড এবং বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়ন ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যের। সহজ যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জনজীবনে।
সড়কের উন্নয় কাজ শুরু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এলাকার মানুষ। জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের হরিবল্লব গ্রামের আসগার আলী (৬০) বলেন,‘নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কটির ধারে মধ্যবর্তী স্থানে উত্তরা ইপিজেড হওয়ার পর থেকে সড়কটির গুরুত্ব বেড়েছে কয়েকগুণ। উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় আনন্দিত আমরা।’
ওই গ্রামের সোলায়মান আলী (৫২) খয়রাত হোসেন (৫০) বলেন,‘ইপিজেডের কারণে প্রায় সময়ে যানজট লেগে থাকে সড়কে। উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে সে সমস্যার সমাধান হবে। পাশাপাশি ওই সড়কে চলাচলে সময় কম লাগবে। জেলা শহর থেকে ইপিজেড এবং সৈয়দপুর শহরের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যমে এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। সেটির ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জনজীবনে।’
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রমতে, সরকারে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) আওতায় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে সৈয়দপুর ওয়াবদা মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু হয় গত বছরের ২ আগস্ট। এক বছর মেয়াদে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে। বর্তমানে ১৮ ফিট প্রস্থের সড়কটি ৯ ফিট সোল্ডারসহ উন্নীত হবে ৪২ ফিটে। এজন্য সড়কের দুই পার্শ্বের ৫৪ দশমিক ৬১৫ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
সড়কটি দুটি অংশে বিভক্ত করে উন্নয়ন কাজ সমাপ্তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে সংগলশী ইউনিয়নের গ্লোরী সিরামিক পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়কের কাজ করছে যৌথভাবে ইসলাম ব্রাদার্স ও রানা বিল্ডার্স। অপর অংশে গ্লোরী সিরামিক থেকে সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত ৪৯ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ করছে নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ইসলাম ব্রাদার্স ও রানা বিল্ডার্সের প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অধিগ্রহণের জমি বুঝে পেলে সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হবে।’
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কেএম হামিদুর রহমান বলেন, এডিপির আওতায় ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সড়কটি সম্প্রসারণের প্রকল্প একনেকে পাস হয়। টে-ার প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের দুই আগস্ট দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন প্রস্তাবিত ৫৪ দশমিক ৬১৫ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে। দ্রুত অধিগ্রহণের কাজটি সমাপ্ত হলে নিদিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজটি সমাপ্ত করতে পারবে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১৪০৫/নূসী